সিলেট প্রতিনিধিঃ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাধারন সম্পাদক সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি বলেছেন, আওয়ামী লীগ শুদ্ধ রাজনীতিতে বিশ্বাসী। আওয়ামী লীগের জন্ম সেনা চাউনীতে হয়নি। সময়ের প্রয়োজনেই গণ মানুষের প্রয়োজনে এই দলের সৃষ্টি। ফলে গণ মানুষের কাঙ্খিত মূল্যায়ন দলটির অন্যতম অঙ্গীকার। তিনি বলেন, এই জন্য সংগঠনের সবাইকে শুদ্ধতার পরিক্ষা দিতে হয়। সারাদেশে সেই পরীক্ষা এখন শুরু হয়ে গেছে। যারাই রাজনীতির নামে, ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে অবৈধ উপার্জন করবে-তারাই ধিকৃত হবেন, নিন্দিত হবেন।
তিনি বলেন, এই দেশে ক্ষমতার রাজনীতি শুরু হয়েছিল বিএনপির হাত ধরেই। এই ধারাবাহিকতা এখনও চলছে। তিনি বলেন, দুর্নীতির মাধ্যমে কালো টাকা উপার্জন করবেন,আর ফল ভোগ করবেননা-সেই দিন এখন শেষ। আজ দুর্নীতির বরপুত্র তারেক রহমান পলাতক রয়েছে, মা কারাভোগ করছেন। তিনি দলীয় নেতাদের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, এর থেকে শিক্ষা নিতে হবে সবাইকে।
ওবায়দুল কাদের বৃহস্পতিবার সিলেটে দলের সাবেক জাতিয় পরিষদ সদস্য ও সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আ ন ম শফিকুল হকের স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন।
সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট লুৎফুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান ও মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিনের পরিচালনায় শোকসভায় তিনি বলেন, এখন শুদ্ধি অভিযান শুধু রাজনৈতিক ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে নয়, এই অভিযান চলবে সরকারি প্রতিটি দপ্তরে। বাদ পড়বেনা প্রশাসনিক পর্যায়ও।
সিলেট আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের প্রতি ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেন, গ্রুপিং দ্বন্দ্বের কারনে দলের মধ্যে কোন্দল সৃষ্টি হয়। নিজের বলয় বড় করতে যারা গ্রুপিং সৃষ্টি করেছেন তাদেরকেই খেসারত দিতে হবে। এখন আওয়ামী নিজেরাই নিজের শত্রু। নিজেরাই নিজেদের ক্ষতি করে। এসব থেকে বেড়িয়ে আসতে হবে। দলের ভাবমূর্তি রক্ষা করতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কাজ করতে হবে। গ্রুপিং-উপগ্রুপ বাদ দিয়ে সবাই একটাই গ্রুপ শেখ হাসিনা গ্রুপে কাজ করতে হবে।
তিনি মরহুম আ ন ম এর স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, আ.ন.ম. শফিক ‘ভাই’ ছিলেন আওয়ামী লীগের নিবেদিত প্রাণ। যার কারনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে বলেছেন- কাদের তুমি শফিকুলের স্মরণ সভায় যাও। বক্তব্যের শুরুতে কাদের সিলেটের জাতীয় ও স্থানীয় নেতাদের স্মরন করেন।
শোকসভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদ, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, সিলেট-৩ আসনের সাংসদ মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী, হবিগঞ্জ-১ আসনের সাংসদ গাজী মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ মিলাদ, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য অধ্যাপক রফিকুর রহমান, সাবেক সাংসদ জেবুন্নেছা হক প্রমুখ।
শোকসভায় বক্তারা আ ন ম শফিকের জীবন ও কর্মের বিভিন্ন দিকের প্রতি আলোকপাত করেন। শফিকের মতো নেতা বর্তমানে বিরল বলেও মন্তব্য করেন তারা।